Hazra Abu Bakar (R:)



হযরত আবু বকর সদ্দিকি (রাঃ) এর বংশ পরিচয় আরব দেশের  পবিত্র মক্কা ভূমি কুরাইশ বংশ ছিল সবচেয়ে  অভজিাত ও ঐতহ্যিবাহী। এ বংশটি পৃথবিীতে সুপরচিতি ।বিশ্বের র্সবশ্রেষ্ঠ মানব আল্লাহর সেরা  ও শেষ নবী হযরত (সঃ) এর বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ বংশেরই একটি শাখা বনি তায়েমের মধ্য থেকে হযরত আবু বকর (রাঃ) ভূমষ্ঠি হয়ছিলেন।
পতিা-মাতা
 হযরত আবু বক্কর এর পিতার  নাম ওসমান এবং তার কুনিয়াত  ছলি আবু কোহাফা। এই আবু কোহাফা নামে তিনি  সবিশেষ পরিচিত ছিলেন। সমকালীন ব্যক্তি মান্যগণ্য ব্যক্তি হিসেবে  তার খ্যাতি ছিল। হযরত আবু বকর (রাঃ) এর মাতার নাম ছিল সালমা। উনিও  কুরাইশ কুরাইশ সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তির কন্যা ছিলেন। কুরাইশ  সমাজে সৎ স্বভাবপন্ন  ও গুণানিতা  মহলিা বলে তার পরচিয় ছিল। বংশধারায় র্উদ্ধতন সপ্তম পুরুষে রাসূলে কারীম (সঃ) এর সাথে হযরত আবু বকর (রাঃ) এর বংশ মিলিত হয়ছে।

জন্মকাল
 হযরত আবু বকর (ivt)  মহানবী হযরত মুহাম্মদ (mt) এর প্রায় সমবয়সী ছিলেন| তবে দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত ছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিক ও জীবনী লেখকদের মধ্যে কিছুটা মতভেদ রয়েছে| তবে অধিকাংশের মতে মহানবী (mt) এর জন্মের `yB erQ‡ii wKQz বেশি mg‡q  হযরত আবু বকর (ivt)  জন্মগ্রহণ করেন| এখানে উল্লেখ্য যে, তিনি আবার হযরত রাসূলে করীম (mt) ইন্তেকালের দুই বছরের কিছু বেশি সময়ের পর ইন্তেকাল করেন|

মহানবী এর সাথে পূর্ব কার সম্পর্ক
 পূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি আরবের তথা মক্কার সেই অন্ধকার যুগের মানব সমাজে হযরত আবু বকর (ivt)  ছিলেন এক ব্যতিক্রমধর্মী পুরুষ| evj¨Kvj থেকে তার চরিত্রে ¯úó স্বাতন্ত্র্য প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছিল| মক্কার বালকদের b¨vq তিনি নিরর্থক খেলাধুলা কৌতুক মগ্ন না হয় তা থেকে দূরে থাকতেন| লম্পট, চঞ্চল বালকদের সাথে তিনি কোন w`bB wgk‡Zb  না| বরং যাদের স্বভাব চরিত্র উত্তম  তাদের সাথে তার গভীর সম্পর্ক ছিল|  এই শ্রেণীর বা সহোদরদের সাথী তার ওঠা বসা ছিল| বিশেষ করে আদর্শ ও সেরা চরিত্রবান বালক হযরত মুহাম্মদ (mt) এর সাথেই তার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল | হযরত মুহাম্মদ  (mt) স্বভাব চরিত্রের সামঞ্জস্য I সাদৃশ্য wQj তাদের  উভয়ের মধ্যে এই অন্ত রঙ্গতার সৃষ্টি হয়েছিল | আবু বকর (ivt)  প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাসূলে কারীম (mt) এর অনুকরণ Kiতেন , এমনকি প্রায়ই তার সহগমন করতেন | তিনি প্রতিটি মুহূর্তেই  হযরত মুহাম্মদ (mt) এর নিকটে থাকতে চেষ্টা করতেন|  তার সাথে অল্প সময়ের  বিচ্ছেদ ঘটলে হযরত আবু বকর (ivt)   তার নিকট ছুটে যাবার  জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তেন | মানুষের মধ্যে এমন গভীর সম্পর্ক খুব কমই ঘটে থাকে , উভয়ের মধ্যে এই cÖMvp m¤úK©B ইসলাম পরবর্তী জীবনে আরও বেশি গভীর হয়ে দেখা দিয়েছিল| যার ফলে হযরত আবু বকর (ivt)  রাসুলুল্লাহ (mt) এর অন্তর্ধা‡bi  পরে প্রথম খলিফা পদ যোগ্যতা jvf করেছিলেন|

ইসলামের আগমন
 হযরত আবু বকর (ivt) এর প্রধান এবং শ্রেষ্ঠ বন্ধু মোহাম্মদ (mt) কে আল্লাহ জগতে পাঠিয়েছিলেন মুক্তির  দিশারী হিসেবে এবং জগতের সকল  অপকর্মকে  বিদূরিত করে জ্ঞান ও ধর্মের আলো প্রদান করতে | তাই তিনি দেখলেন তার  শ্রেষ্ঠ বন্ধু হযরত মুহাম্মদ (mt)  এর মধ্যে এমন কতগুলো গুণ প্রকাশ পাচ্ছে যা কোন মানুষের মধ্যে অকল্পনীয়| তাছাড়া তার আচরণে চাল চলনে এমন এক  সততা  ও সৌন্দর্য প্রকাশ পাচ্ছিল  যাতে মক্কার আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা তাuর প্রতি যার পর নাই আকৃষ্ট ও গুণমুগ্ধ হয়ে পড়েছিল| হযরত আবু বকর (ivt) তা কov দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিলেন | ফলে তিনি বুঝতে পারলেন তার বন্ধু হযরত মোহাম্মদ (mt)  একজন মানুষ হলেও সাধারণ মানুষ নহেন নিশ্চয়ই তারমধ্যে অতিমানবীয় ¸b লুকায়িত আছে| নিশ্চয়ই আল্লাহ তারা মানবজাতির কোন মহৎ কল্যাণ সাধন করবেন| হযরত আবু বকর (ivt) Giƒc wek¦vm হৃদয় পোষণ করে কালক্ষেপণ করছিলেন | এদিকে হরযত মোহাম্মদ (mt) এর beyqvZ লাভের সময় ক্রমেই নিকটবর্তী হয়ে আসছিল | তিনি দিবা-রাত্রি অধিক  সময়ই ধ্যান নিবিষ্ট হয়ে কাটাতে লাগলেন| একাধারে  2-3 দিন হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকে‡Zb| এ সময় দুনিয়ার সবকিছু তিনি সর্ব সম্পূর্ণরূপে ভুলে যেতেন| এভাবে বয়স যখন 40 বছর তখন gnvb  আল্লাহ  Zvunvi  উপরে পবিত্র আমানত তথা রেসালাত ও byeqZ অবতীর্ণ করলেন|
সর্বপ্রথম ইসলাম  গ্রহণকারী
  হযরত রাসূলে কারীম (mt)  ইসলাম পেশ   করবার সাথে সাথে বিনা দ্বিধায় হযরত আবু বকর (ivt) সর্বপ্রথম তা গ্রহণ করেছিলেন এবং তা প্রথম অবস্থাB| সর্বপ্রথম তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং এটা পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম বালকদের মধ্যে হযরত আলী ও মহিলাদের মধ্যে হযরত খাদিজা|
ধর্ম প্রচারে রাসুলুল্লাহ  (mt)  এর সাথে
 হযরত আবু বকর (ivt) হরযত রাসূলে কারিম (mt) মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে ও ইসলামকে ভালোবেসে গ্রহণ করেছিলেন| তাই তিনি নিজে ইসলাম গ্রহণ করেই তার কর্তব্য শেষ মনে করলেন না| বরং নিজের সমস্ত ধন সম্পদ এনে রাসূলের কাছে সোপর্দ করেছিলেন| হযরত আবু বকর (ivt) দরিদ্র ছিলেন না| ব্যবসার মাধ্যমে তিনি যথেষ্ট সম্পদ সঞ্চয় করেছিলেন  কিন্তু  সে সম্পদের তুলনায় তার নিকট ইসলামী বেশি প্রিয় ছিল| ZvB তিনি ইসলামকে নিজের জন্য যেমন ইহ ও পরকালেi পরম কল্যাণ এর মনে করেছিলেন †Zgwb অন্যের জন্য মনে করেছেন | অনেক ক্ষেত্রে  হযরত আবু বকর (ivt) নিজের  অর্থানুকুল্যেI ইসলামের প্রসার ঘটিয়েছিলেন| অত্যন্ত কোমল প্রাণ লোক ছিলেন| সুতরাং মুসলিম দাস-দাসীর দুঃখ কষ্ট দেখে তার প্রাণ কেঁদে উঠত| তিনি †eØxb প্রভুদের কাছ থেকে অতি উচ্চমূল্যে খরিদ করে তাদেরকে মুক্ত করে দিতেন| হযরত আবু বকর (ivt) এর  সদা সহায়তা      অর্থানুকুল্যে হযরত বেলাল  (ivt)  এভাবেই মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছিলেন| 

হযরত বেলাল (ivt) এর ঘটনা জানে না এমন লোক খুব কমই রয়েছে| তিনি একজন হাফসি গোলাম ছিলেন| তার মনিব নিষ্ঠুর তাকে ইসলাম বর্জন করার জন্য বরাবরের ন্যায় অত্যাচার শুরু করেছিল| তার  নির্মম নিষ্ঠুর নির্যাত‡b অচেতন হয়ে পড়তেন| হযরত আবু বকর (ivt)   নিষ্ঠুর gwb‡ei থেকে বেলালকে কিনে আজাদ করে দিলেন |

এরূপ দু'একটি ঘটনা নয় ইসলামের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে গিয়ে তিনি তার নিজের বিষয়ে পরিবার-পরিজনের বিষয় একমাত্র চিন্তা করেন নাই| তিনি মনে করতেন যদি ইসলামের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেন তবে তার চিন্তা তার পরিবার পরিজনের চিন্তা আল্লাহ তাqলাই করবেন | তাবুকের যুদ্ধের হযরত নবী করীম সমস্ত সাহাবাদেরকে রেখে বললেন তোমরা ইসলামের এই দুর্দিনে যে যা পারো মুক্তহস্তে দান কর| রাসুলের আহবানে সাহাবাগণ সাধ্যমত ধন-সম্পদে wb‡q রাসূলের সামনে উপস্থিত করলেন | কিন্তু  হযরত আবু বকর (ivt)  নিজের জন্য কিছুই না রেখে যা কিছু তার নিকট ছিল সবকিছু তার প্রিয় নবীর দরবারে নিয়ে আসলেন|
 হযরত রাসূলে করীম হযরত আবু বক্কর (ivt)  এর অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন আবু বক্কর তুমি তোমার   নিজেও  ও তোমার পরিবার পরিজনের জন্য কি দেখে এসেছেv?  আবু বকর (ivt)  বললেন যার জন্য সব আল্লাহর রয়েছেন তার আবার অন্য কিছুর প্রয়োজন কিসের?
 একথার দাড়াই বোঝা যায় হযরত আবু বকর (ivt)   আল্লাহ ও রাসূলে  এর প্রতি কতখানি বসেছিলেন ইসলাম প্রিয় ছিলেন|
ইসলাম প্রচারে প্রতিক্রিয়া
 নবী করিম  নবুয়ত লাভের পর প্রথমদিকে প্রায় তিন বছর প্রকাশ্যে এবং ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচারে অবতীর্ণ হন নাই বরং গোপনীয়তা রক্ষা করে প্রচারের কাজ করেছেন|
 এভাবে গোপন প্রচার করে কালে খুব অল্প সংখ্যক ইসলাম গ্রহণ করেছিল| তবুI কিছু লোক ইসলাম গ্রহণ করার ফলে ইসলামিক শক্তি অর্জিত হল| তখন নবুয়তের চতুর্থ বর্ষ শুরু হয়েছে| এসময়ে রাসূলে কারীম নিজের ইচ্ছায় ও কিছু নওমুসলিম প্রেরণায় প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করলেন| রাসূলে কারীম বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশের আয়োজন করে মক্কাবাসীদের পূর্বে প্রচলিত ধর্মের  দোষ ত্রুটি কথা উল্লেখ করতে লাগলেন| প্রকাশ্যে ইসলামের কাজ করা মক্কার Kv‡div মনে করল এভাবে ইসলামের প্রচার  চলতে থাকলে তাদের পিতা-  পিতামহনের  ধর্মের অস্তিত্ব GKw`b বিলুপ্ত হয়ে যাবে| সুতরাং  তারা আর ধৈর্য ধারণ করতে পারলো না| হযরত রাসূলে কারীম এর প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলো| আরম্ভ হল তাদের অত্যাচার  DrwciY| হযরত আবু বকর(ivt)  প্রিয় রাসূল এর প্রতি এই দারুন দুর্যোগের সময় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন| প্রায়ই তিনি নবীর সাথে সাথে থাকতেন| কখনো বিপদে দেখলে ঝুঁকি  তিনি নিজের মাথায় বহন করে নিতেন এবং   প্রিয় রাসূল কে  বিপদমুক্ত করতেন|
মক্কার   কোরাইশ   এর সমস্ত  ক্রিয়া-কলাপ  দেখে হযরত আবু বকর (ivt)   রাসুলের ন¨vয় শত্রু গণ্য করল এবং তার উপরও নির্যাতন আরম্ভ করলো| কিন্তু আবু বকর (ivt)  তাতে বিচলিত না হয়ে নিজের কর্তব্য এবং সাহায্য করে যেতে লাগলেন| কোন একদিন মক্কার কুরাইশদের কতিপয় †jvK মিলিত হয়ে হযরত রাসূলে কারীম (mt) নতুন ধর্ম বিরুদ্ধে কার্যকরী পন্থা নিরূপণের উদ্দেশ্যে kjvcivgk© KiwQj| ওই পথ দিয়ে হযরত রাসূলে কারীম (mt কোথাও যাচ্ছিলেন| পথিমধ্যে তিনি কোরআনের আয়াত পাঠ করে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন, এতে Zviv অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে একযোগে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মারপিট করতে লাগলো| তাদের cÖnv‡ii AvNv‡Z  ক্ষতবিক্ষত হয়ে রক্ত প্রবাহিত হলতিনি তাতে একবারে অচেতন হয়ে পড়লেন| হযরত আবু বকর (ivt) লোকমুখে  একথা শুনে অবিলম্বে ‡mLv‡b গেলেন| তিনি গিয়ে দেখতে পেলেন তখনো নবীকে ঘিরে রেখে তার ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে| অসহ্যকর ঘটনা দেখে হযরত আবু বকর (ivt) অসীম সাহসের সাথে মারমুখী হয়ে কাফিরদের উপর ঝাপিয়ে পড়লেন| তার হামলার  ‡e‡M wZwó‡Z  না পেরে gykwiKMb সরে যেতে বাধ্য n‡jb|  অবশেষে রাসূলে কারীম (mt) কে  তিনি সেখান থেকে উদ্ধার করলেন| তার তিরস্কারের gykwiK  দল আবার ফিরে এসে হযরত আবু বকর (ivt) এর উপর আক্রমণ করলো| তাদের প্রহার এর আঘাতে মস্তK ফেটে i‡³i avivq মুখমণ্ডল রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেল| পাপিষ্ঠদের দল হযরত আবু বকর (ivt)  ও রাসূলে কারীম ‡K G অবস্থায় ফেলে রেখে সেখান থেকে চলে ‡M‡jb| পরে  gymjgv‡biv G দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে সেবা-যত্ন করে তাদেরকে সুস্থ করে তোলেন| এই ধরনের ঘটনা কেবল একদিনই নয় হযরত আবু বকর (ivt) i জীবনে আল্লাহ, রাসুল (mt)  এবং ইসলামের জন্য অনেকদিনই ঘটেছে|

মদিনা হিজরত
 মক্কার নিকটবর্তী কোন একটি স্থানে প্রতিবছর একটি বিরাট মেলা Av‡qvRb Kiv nZ| উক্ত †gjvq g° I মক্কার পার্শ্ববর্তী স্থান সমূহ থেকে বহু লোকের সমাগম হZ| হযরত রাসূলে কারীম (mt) প্রতি ermiB †gjvi mgq mg‡eZ †jvK‡`i‡K Bmjv‡gi cÖwZ Avn¦vb Rvbv‡jb| Zv‡Z  ফলাফল ভালো না †`Lv গেলেও মদিনার কিছু লোক ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন| ওই সমস্ত মুসলমানগন মদিনায় ফিরে দেশবাসীর কাছে ইসলাম  এর কথা প্রকাশ করলে মদিনার অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন| মোটামুটি মদিনায় ইসলামের একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হল| আরো কিছু লোক ইসলাম গ্রহণ করার জন্য রাসূলে কারীম (mt) কে  মদীনায় আসার জন্য ¯^v`i Avgš¿b জানা‡j| এই মদিনা মুসলমানদের জন্য একটি অনুকূল নিরাপদ স্থানে পরিণত হj| সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই রাসূলে কারীম (mt) এর Avদেশে g°vi  নির্যাতিত মুসলমানMb `‡j `‡j wnRiZ K‡i g`xbvq AvkÖq  গ্রহণ করতে লাগলেন| এভাবে মুসলমানগন যখন অধিকাংশ g`xbvq P‡j গেলেন| হযরত আবু বকর (ivt)  wnRiZ  করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আবু বকর আমাকে আল্লাহর আদেশের অপেক্ষা করা প্রয়োজন আমি তাই করছি| তুমিও একটু অপেক্ষা করো| হযরত আবু বকর (ivt) ও এরূপ সিদ্ধান্ত করে রেখেছিলেন যে তার নবীর হিজরত করলে তিনিও তার সাথী হবেন|

 এদিকে মুসলমানদের মদিনা হিজরতের কথা মক্কার কাফেরগণও বুঝতে পারল|  তারা ভেবে দেখল মুসলমানদেরকে মক্কা থেকে চলে যেতে দেয়া তাদের মোটেও ঠিক হয়নি| এটা তাদের মারাত্মক ভুল হয়েছে| আর এ fz‡ji Rb¨ মদিনায় ইসলাম মাথা উঁচু করে `vwo‡q‡Q| এরপর মোহাম্মদ যদি ¯^qs  মদিনায় গিয়ে তথাকার মুসলমানদের সাথে মিলিত হতে পারে তাহলে মদীনাবাসীদের শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে| তখন ইসলামকে টিকিয়ে রাখা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে|  তখন মক্কা ও মদিনার মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হবে| সমস্ত চিন্তা করে †KvivBkiv  অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়ল এবং পরামর্শ স্বভা  বসল| তাদের পরামর্শের মূল বিষয় ছিল মুহাম্মদ (mt) সম্পর্কে এখন কি করা যায়?

 কেউ কেউ মন্তব্য করলো যে মোহাম্মদ স্বেচ্ছায় যদি দেশ ত্যাগ করেন ভালো|  নতুবা তাকে দেশ ত্যাগ করা উচিত| তাহলে আপদ থেকে বাচা যায়|  আবার কেউ কেউ বলল অত্যন্ত ভুল ধারণা মোহাম্মদ কে নিরাপদে মদিনা যাওয়ার সুযোগ দিলে তাতে আপদ দূর হবে না বরং মদীনাবাসী কে সাথে নিয়ে তার শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে ফলে আমাদের বিপদ ঘটতে পারে|  আমাদের g‡Z মক্কায় আটক  করে রাখা হোক|
 আবু জাহেলের কিন্তু এসব প্রস্তাব মতে মনপুত হলো না| সে বললো তোমাদের কারো প্রস্তাবই গ্রহণযোগ্য নয়| এসব ব্যবস্থায় তেমন কোনো শুভ ফল চলবে না| যদি বিপদে হয় তবে তাকে হত্যা করা উচিত জীবিত থাকলে আমি নিশ্চিন্ত হতে পারিনা, তাতে যে কোন দিক থেকে আমাদের উপর বিপদ আসতে পারে| আর যদি তাকে হত্যা করে ফেলা হয় ফেলা যায় তবে তা  ইসলামের  ধ্বংস ডেকে আনবে তখন আর আমাদের কোনো শত্রু থাকবে না| একথা বললে চলবে না যে ইসলামী আমাদের প্রধান শত্রু| আবু জাহেলের অন্যান্য নেতাদের মতো তারা একবাক্যে সমর্থন করলো|
আবু জেহেল ভাবল এ কাজ কে করবে? উক্ত সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন করে লোক নির্ধারণ করা হবে প্রতিপক্ষের লোকজন একযোগে হত্যা করবে তাহলে আর কোন একটি ‡jv‡Ki ev †Mv‡Îi  উপর বিপদের ঝুঁকি থাকবে না| 
 হযরত মুহাম্মদ (mt) †K হত্যা করা পন্থা হিসেবে wm×všÍ nj †h,  wba©vwiZ †jvKMb mK‡j  একযোগে গিয়ে iv‡Î হযরত মুহাম্মদ (mt) এর গৃহ †NivI  করে রাখবে| mKv‡j  গৃহ থেকে বের হওয়া মাত্র mK‡j GK‡hv‡M Zv‡K nZ¨v করে ফেলবে|

 কাফিরগণ  তাকে হত্যা করার যে সিদ্ধান্তই করুক না কেন, আল্লাহ তাআলা তাদের হাত থেকে রক্ষা করবেন| সুতরাং তাদের কি এমন সাধ্য আছে যে তাকে হত্যা করতে পারে|
 কুরাইশ নেতাদের  উক্ত পরামর্শের কথা আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা জিব্রাইলের মাধ্যমে হযরত রাসূলে কারীম কে জানিয়ে দিলেন| একই সাথে তিনি তাকে মক্কা থেকে মদিনা হিজরত করার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ প্রদান করলেন |
 রাসূলে কারীম (mt) কুরাইশদের গোপন ষড়যন্ত্র জানতে পেরে সেই রাত্রি মদিনা করার মনস্থ করলেন এবং হযরত আলী কে ‡W‡K  তাকে প্রয়োজনীয়  উপদেশvw`  w`‡q কাফেরদের দৃষ্টি এড়িয়ে অতি সাবধানে Ni থেকে বের হয়ে আবু বকর (ivt) Gi N‡i P‡j †M‡jb এবং তাকে বললেন  আবু বকর আল্লাহর নির্দেশে G‡m‡Q| সুতরাং  এখন  তৈরি  n‡q Avm | AvR iv‡Î আমরা মদিনায় যাত্রা করবো
হযরত আবু বকর (ivt)   এর জন্য পূর্ব থেকেই প্রস্তুত হয়েছিলেন ZvB †m  আর দেরি না করে পরিবার-পরিজনের  কা‡Q বলে তখনই তিনি বের হয়ে আসলেন| অতঃপর দুজনে রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি মদিনাযi অভিমুখে রওনা হলেন| এ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য করলে হযরত আবু বকর (ivt) এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করা যায়| তিনি বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন| রাসুলুল্লাহ মদিনায় একমাত্র সঙ্গী হওয়ার  †mŠfvM¨ লাভ করেছিলেন| তাছাড়া  রাসূলে কারীম এর প্রধান পরামর্শদাতা ও সাহায্যকারী ছিলেন| 

মদিনার পথে রওনা হ‡q রাসুলে কারিম (mt)  পরামর্শ করলেন যে, বেশি দূর না গিয়ে মক্কার অদূরে GKwU ce©Z ¸nvq  jywK‡q থাকবেন| পরে পরিস্থিতি বুঝে my‡hvM অনুসারে ¸nv থেকে বের হয় মদিনার পথে iIbv n‡eb| ইহার কারণ হলো যে, রাসূলুল্লাহ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদেরকে  গৃহে  না পেয়ে কাফেরগণ তাদের অন্যতম মদীনার দিকে অগ্রসর হবে এবং অসম্ভবের কিছুই নয় যে, তারা তাদের হাতে ধরা পড়বেন| মক্কা থেকে রাসূলে কারিম (mt) হযরত আবু বকর (ivt)  হযরত আলী (ivt)  ব্যতীত সমস্ত মুসলিমগণ মদিনা চলে এসেছিলেন|
 রাসূলে কারীম এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পূর্ব পর্যন্ত  অর্থ এবং ¯^Y©vj¼vi তার নিকট গচ্ছিত ছিল| 
 মদিনা যাত্রার পূর্ব মুহূর্তে উক্ত AvgvbZx gvjসমূহ এবং আমানতকারীদের bvমদাম তিনি হযরত আলীকে (ivt)  বুঝিয়ে দিয়ে রওনা হলেন| আমানতকারীদের কে যথাযথভাবে D³ gvjসমূহ ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই হযরত আলী (ivt)   †K g°vq রেখে গেলেন|
 রাসূলে কারীম ঘর থেকে বের হয়ে যাবার পর হযরত আলী (ivt)  GKwU চাদর দ্বারা আপাদমস্তক AveªË  K‡i Zvi kh¨vq khY K‡i iB‡jb| অল্পক্ষন পরেই কুরাইশগণ রাসূলুল্লাহর অবরোধ করে রাখলেন| তারা জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে চাদরাবৃত হযরত আলী (ivt)  †K  দেখে রাসুলে কারিম (mt) মনে K‡i সারা রাতি গৃহ †MivI  করে রাখল, যেন বের হয়ে পলায়ন করতে না পারেন| অতঃপর তারা অত্যন্ত উদ্যোগী অবস্থায় N‡i  প্রবেশ K‡i শায়িত ব্যক্তির দেহের উপর চাদর Lvনা উপরে  DwV‡q †`Lj †h , রাসুলের এর পরিবর্তে হযরত আলী সাwqত্ রয়েছেb| Bnv‡Z Zv‡`i we¯§‡qi gvÎv  আরো বৃদ্ধি পেল এবং হযরত আলী (ivt)  কে জিজ্ঞেস করা হলো হযরত মুহাম্মদ(mt)  কোথায় গিয়েছে|
 হযরত আলীর (ivt)   উত্তর দিলেন তার কথা কি আমি জানি তোমাদের প্রয়োজন থাকলে তোমরা তাকে খুঁজে দেখতে পারো|

  হযরত আলী (ivt) কথা বলেই ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন কাফিরগণ হতাশ হয়ে মোহাম্মদ (mt) Gi অনুসন্ধানে  ধাবিত হলেন এদিকে রাসূলে পাক (mt) এবং হযরত আবু বকর (ivt)  থেকে রওনা হয়ে  তিন মাইল দূরে QËi নামক পর্বতের গুহায় গিয়ে লুকিয়ে রইলেন|  মক্কার কাফেরগণ বুঝতে পেরেছিল যে, মদিনা রওনা হয়ে গিয়েছেন| সুতরাং তাকে মদিনার পথে খুঁজতে লাগলো| প্রথমেই তারা Avey eKi G N‡i wM‡q দরজা খুলে নরাধম আবু জাহেল জিজ্ঞেস করল তোর আব্বা কোথায়? Avey eK‡ii ‡g‡q DËi  করলেন তা আমি বলতে পারিনা| পাপীষ্ঠ আবুজাহেল তার গন্ধে একটি চড় মারল|
 আবু জাহেল, রাসূলে কারীম (mt)  আবু বকর (ivt) ধরিয়ে দেয়ার জন্য  100wU উট পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা কর‡jb|
    ঘোষণার পরে সমগ্র মক্কায় তাদেরকে খোঁজাখুঁজির বিপুল সাড়া পড়ে গেল| একদল QËi পর্বতের গুহায় এসে পড়ল| হযরত আবু বকর (ivt)  আড়াল থেকে তাদেরকে দেখতে পেলেন| আবু বকর (ivt)  ভয় হাসিল করেন|Avjøvni imyj‡K জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ এখন কি করা যায়?  ওরা যে অনেক লোক আমরা মাত্র দুইজন রাসূলে কারীম (mt) এরশাদ করলেন আবু বকর কোন চিন্তা করো না আমরা দুইজন আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন!
 একথা শুনে আবু বকর একটু লজ্জিত হলেন| রাসূলে কারীম (mt) অবিচলভাবে হযরত আবু বকর (ivt) কে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, আল্লাহ আমাদের সহায় আছেন| রাসূলে কারীম (mt) Gi সান্তনা বাণীতে সব চিন্তা দূর হয়ে গেল| আল্লাহর প্রতি ঈমান আল্লাহ তাদের দুজনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজের  হাতে তুলে নিয়েছিলেন| তার সাথে সাথেই একটি মাকড়সা গুহার  মুখে জাল বেঁধে দিল| আর এক জোড়া কবুতর এসে বাসা evuaj| চারিদিকে অনুসন্ধান করেও উল্লেখিত গুহার কাছে উপস্থিত হল| কেউ  কেউ বলল  GB ¸nvq লুকিয়ে থাকতে পারে|  চলো আমরা ভিতরে প্রবেশ করি| Gi g‡a¨ GKRb ejj তোমাদের কোন কান্ড জ্ঞান নাই গুহার মুখে বাসা দেখতে পাচ্ছ এই গুহা কোন মানুষ ঢুকলে এইসব বস্তুগুলো এভাবে থাকতে পারে অথবা প্রবেশ করা  অনর্থক মনে করে চলে গেল|
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন
 মোট চারটি বিবাহ করেছিলেন দুইটি  ইসলাম গ্রহণের পরে  দুইটি ইসলাম গ্রহণের পূর্বেহযরত আবু বকর (ivt) মক্কার একজন ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি ব্যবসা লব্ধ অর্থ যারা সচ্ছল জীবন যাপন করতেন| ইসলাম গ্রহণের সময় তার নিকট  40 হাজার দেরহাম মজুদ ছিল| ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি ওই সব অর্থ ইসলামের সেবায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ করেb| এরূপ নিঃসম্বল হয়ে পড়েছিলেন †h, তখন তিনি মদিনা হিজরত করেন তখন তার নিকট  5  mn¯ª দিরহাম অবশিষ্ট ছিল| মদীনায় আগমন করার পরও তিনি ইসলামের খেদমতে নিজের সকল অর্থ ব্যয় করেছিলেন|
 wnRi‡Zi ci খুব বড় রকমের ব্যবসা bv চালিয়ে প্রয়োজন Dc‡hvMx  ব্যবসv দ্বারা কোনো রকমের সংসার চালাতেন|  কেননা ইসলাম গ্রহণের পর তার ধন সম্পদের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল না যেটুকু না হলে চলে না ঠিক করতেন|

  রাসূলে কারীম এরপরে ও  6 মাস অবধি ব্যবসা করেছিলেন| খেলাফতের কঠিন দায়িত্বের চাপে শেষ পর্যন্ত ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন| এসময় ওমর অvলী এর একান্ত অনুরোধ বায়তুল মাল থেকে সামান্যতম ভাতা গ্রহণ করে সংসার চালাতে e‡jb| হযরত আবু বকর (ivt) ব্যক্তিগত জীবন যাপন, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত-অপরিচিত সবার সাথে ছিলেন অত্যন্ত অমায়িক কোমল হৃদয়, সদালাপী  ঢাকা ও দয়ালু ব্যক্তি সকলের সাথে খোশমেজাজে ও হাসিমুখে কথা বলতেন| অবশ্যই ইসলাম গ্রহণের পর তার স্বভাবে একটু পরিবর্তন ঘটে এসময় তিনি খুব  খুব কমই হাসতেন| আল্লাহর ভয় অন্তরে আতঙ্ক বিরাজ করতো|  নির্জনে তিনি প্রায়ই ক্রন্দন করতেন| অত্যন্ত পরোপকারী ছিলেন| হযরত আবু বকর (ivt) কারো কোন কাজে কিছু সাহায্য করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতেন| সে যেকোনো ধরনের কাজ হোক না কেন|

 খলিফা হওয়ার পর তিনি রাত্রে শব্দ বেশি শহরে ও পল্লীতে জনসাধারণের দুঃখ-কষ্ট অভাব অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিতেন|

 তিনি অনেক ব্যক্তিগত  কাজ  নিজ হস্তে করতেন, অনেক তিনি নিজে অনেক সময়ই কূপ থেকে পানি তুলতেন, নিজে কাপড় সব করতেন ঘর  ঝাড়ু দিতেন এবং নিজের জুতা নিজে সেলাই করতেন| মহান ব্যক্তির সচ্চরিত্রের কোন কিছুরই অভাব উদ্দেশ্য ছিল না|

তদুপরি ইসলামের সুমহান নীতি ও শিক্ষা তার সে মানবীয় গুণ এবং সচ্চরিত্র আরো পরিপূর্ণ ও এবং জোরদার  করে তুলেছিল| ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে যে, প্রাক ইসলামী যুগ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (mt) এবং হযরত আবু বকর (ivt)  জন্মকালীন সময়  বড়ই বীভৎস ছিল| আরব দেশের  সে সময়টি‡K ইতিহাস AvB‡q‡g জাহেলিয়াত ev অন্ধকার যুগ নামে AvÿvwXZ K‡i‡Qb| ‡m সময় আরবের বুকে চরিত্রবান †jvK  পাওয়া দুষ্কর ছিল, কারো কোন লজ্জার বালাই ছিল না, মিথ্যা দাঙ্গাবাজি, প্রতারণা, প্রবৃত্তি , অসৎকার্য, মানুষ মানুষের কাটাকাটি, হানাহানি, হাজারী লেগেছিল| মদ্যপান ব্যভিচার, জুয়া খেলা প্রবৃত্তি জঘন্য কাজ সমূহ মানুষ গর্বের বিষয় মনে করে গ্রহণ করেছিল| আরব সমাজে  সেকালে নারী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা ছিল না| পুরুষের যৌন লালসা চরিতার্থ করা ছাড়া আর কোন প্রয়োজন ছিল না| তাদেরকে গবাদি পশুর মত ক্রয়-বিক্রয় করা হZ | অধিকাংশ মানুষই তখন সুলভ স্বভাব হারিয়ে ফেলে পশুর স্বভাব অবলম্বন করেছিল|

 কিন্তু আবু বকর (ivt) এই যুগে জন্মগ্রহণ করেও সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী পুরুষ wQ‡jb, জন্মগতভাবেই তার চরিত্র ছিল নির্মল ও নিষ্কলঙ্ক, বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন কঠোর সত্যবাদী, তিনি কখনও ছলনা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করেন নাই, বিনয় ও নম্রতা তার চরিত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল| আরবে প্রায় প্রতিটি gvbylB অগ্নিপূজক  ছিল, প্রসাদপুর হযরত আবু বকর (ivt) কখনো অগ্নিপূজা পুত্তলি কথা লিপ্ত হন নাই| মানুষের সদ্ব্যবহার ও উত্তম আচরণের সে যুগে হযরত রাসূলে কারীম (mt) ছাড়া  তার জুড়ি ছিল না| তাছাড়া শালীনতা ও ভদ্র তাও সে যুগের AwØZxq  ছিলেন| 
মানুষের প্রধানত দুটি গুণাবলি দুটি একটি মানবতা অন্যটি ধার্মিকতা হযরত আবু বক্কর দুটিতেই উন্নতি শীর্ষস্থানে পৌঁছেছিলেন|
সত্য বলতে কি মানুষ হিসেবে আবু বকর (ivt) এর গyন প্রাক-ইসলামী যুগে, ইসলামিক যুগে এক মহান পুরুষ ছিলেন| তার ভিতরে নানা গুণ ও যোগ্যতা প্রকাশ পেয়েছিল| সে সকল উত্তম চরিত্রের দ্বারা একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়, তার প্রায় সবগুলোই তার ভিতরে ছিল| সত্য ভাষণ, সদাচার, বিনয়, নম্রতা, দাক্ষিণ্য মায়া মমতা, বদান্যতা, স্নেহ প্রীতি, বাৎসল্য ও উত্তম আচরণের তিনি মক্কা ভূমিতে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছিলেন| ইহা ছাড়া তিনি বহুবিধ যোগ্যতার অধিকারী ছিলেন| তিনি ছিলেন তৎকালীন সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ উচ্চতা এবং প্রথম শ্রেণীর কবি ও সাহিত্যিক|
আমানত দল হিসেবে হযরত আবু বকর (ivt)  মক্কার বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন আত্মীয় অনাত্মীয়, শত্রু মিত্র প্রত্যেকে তার নিকট মূল্যবান দ্রব্য সমূহ আমার রেখে নিশ্চিন্ত তারা  মনে Kiতো যেহযরত আবু বকর (ivt) এমন ব্যক্তি ও তার চরিত্র এ ব্যাপারে এতেv বলিষ্ঠ যে, প্রয়োজনে তিনি প্রাণের মায়া Z¨vগ করবেন কিন্তু কোন প্রকারেB AvgvbZ †LqvbZ করবে না| Av‡iv‡e †m hy‡M  রাজ্য শাসন ও সমাজ ব্যবস্থা বলতে নীতিগতভাবে কিছু ছিল না অথচ ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সংঘাত বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসামূলক AvPiY cÖবল ছিল| সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিMY wb‡R‡`i  প্রভাব-প্রতিপত্তি LvwU‡h দেশেi GB `yie¯’v‡K jNe Kivi cÖqvm †c‡Zb  Ges Zv‡Z wKQzUv djI jvf  করতেন| এক কথায় নৈতিক বলে বলিয়ান  আবু বকর (ivt)  দুর্যোগ wjß g°vevmx‡`I Kv‡Q  আশ্রয়স্থল  স্বরূপ ছিলেন |

fzj-ÎæwU ms‡kvab‡hvM¨



ab¨ev`


0 Comments

আমার ব্লগ তালিকা